বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া আলোচিত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এর আগে গত ৬ আগস্ট তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এই তথ্য জানায়। তিনি সবশেষ ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্বে ছিলেন।

র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (গোয়েন্দা) থাকা অবস্থায় জিয়াউল আহসান বহুল পরিচিত ছিলেন। ওই সময় কর্নেল পদমর্যাদার কর্মকর্তা ছিলেন তিনি। এ ছাড়া চাকরিচ্যুতের আগ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

এর আগে গত ১৩ আগস্ট সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে গুম হওয়ার ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’। একই সঙ্গে সংগঠনটি জিয়াউল আহসানসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বলেও জানিয়েছিল। গত ৬ আগস্ট এক বিজ্ঞপ্তিতে মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে জানিয়েছিল আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। আর সেদিনই তার খোঁজে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তল্লাশি করা হয়। তবে ফ্লাইটে তল্লাশি করে তাকে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীর এই সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফোনে আড়িপাতা এবং গুপ্তহত্যায় শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা দেওয়ার সরাসরি অভিযোগ তুলেছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও বিরোধী নেতারা। ছাত্রজনতার অভ্যুত্থান ঠেকাতে ডিজিটাল ক্র্যাকডাউনের হোতা ছিলেন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানই অন্যতম ভূমিকা পালন করেন বলেও বেরিয়ে এসেছে।